About Us

About Us

WBPTWA, full form West Bengal Private Tutors' Welfare Association. বাংলায় যার নাম পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল‍্যাণ সমিতি। সংগঠনটি অরাজনৈতিক এবং কোনো আর্থিক উদ্দেশ্য ব‍্যতিরেকে গড়ে উঠেছে।  স্বাধীন পেশায় অংশগ্রহণকারী  এক বিচ্ছিন্ন শ্রেণিকে  ঐক্যবদ্ধ এক জাতিতে বন্ধনের লক্ষ্য নিয়ে শ্রীসুজয় বর্মন ও শ্রীতৈলাক্ষনাথ রায়ের উদ‍্যোগে এই সংগঠন সৃষ্টি হয় 2001 সালে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি শহরে। প্রথমে জলপাইগুড়ি শহরে, পরে ঐ জেলার পরিধি ছাড়িয়ে দার্জিলিং, কুচবিহার সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গেই এই সংগঠন বিস্তারলাভ করতে থাকে। 2013 সালে সংগঠনটি প্রথম রেজিস্ট্রি হয় স‍্যোসাইটি এক্টে। তখনই এই সংগঠনের নাম হয় West Bengal Private Tutors' Welfare Association বা পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল‍্যাণ সমিতি। সংগঠনের প্রথম সভাপতি মনোনীত হন শ্রীসুজয় বর্মন এবং সাধারণ সম্পাদক শ্রীশেখর (পল্টন) পাত্র। 2017 সালের মার্চ মাসে শিলিগুড়ি থেকে স্বপন সরকার মহাশয় কার্য্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ওনার সুদক্ষ কর্মসূচির মাধ্যমে সংগঠনটি ক্রমশ উত্তরবঙ্গ সহ দক্ষিণ বঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তার দাপট দেখাতে শুরু করে। এই সময় স্বপন বাবু সংগঠনকে একপ্রকার খাদের কিনারা তুলে এনে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলেন । তিনি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ( Memorandum, Registration Certificate, Pan Card ও দীর্ঘদিন পরে থাকা Registration Renewal ) তৈরী করেন। স্বপন বাবুর নেতৃত্বেই শিলিগুড়ির মিনি সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির সঙ্গে বৈঠক হয় এবং  2018 সালের সেপ্টেম্বরে কলকাতার বিকাশ ভবন অভিযান ও কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন  হয়। তাঁকে সহযোগিতা করেন পল্টন পাত্র, বিবেকানন্দ সাহা, সিদ্ধার্থ দেবনাথ, রেশমি দেব, হিল্লোল দাস প্রমুখ।  2019 সালের এপ্রিল মাসে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়ে স্বপন বাবু রাজ্য সভাপতি এবং অমিতাভ কর ও শ্রীপার্থ প্রতিম চ‍্যাটার্জী যুগ্ম  সম্পাদক হিসাবে  মনোনীত হন। এই সময় বাকী জেলা গুলোতে জেলা কমিটি গঠন  শুরু হয় । অনলাইন  রেজিস্ট্রেশন রিনিউয়াল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালু হয় । সংগঠনের লোগো হয়।  লড়াকু নেতা প্রয়াত অমিতাভ করের নেতৃত্বে ও স্বপন বাবুর উপস্থিতিতে কোচবিহারের জেলা শাসকের কার্যালয়ে স্বেচ্ছা মৃত্যু আবেদন করা হয়। স্কুল শিক্ষকদের অবৈধ প্রাইভেট টিউশন বন্ধের উদ্দেশ্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার জন্য হীরালাল মন্ডল মহাশয়কে চেয়ারম্যান করে ল' কমিটি গঠিত হয়। সুজিত রায় মহাশয়কে চেয়ারম্যান করে সংবিধান রচনা কমিটি গঠন করা হয়। 2021 সালের জানুয়ারি মাসে কলকাতা গান্ধী মূর্তি পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে একদিকে  WBPTWA-এর  প্রভাব বিস্তার   বিভিন্ন জায়গায় ছোটো ছোটো ইউনিট গঠনের মাধ‍্যমে গৃহশিক্ষক-শিক্ষিকাদের একত্রীকরণ মাধ্যমে চলতে থাকলো। অপর দিকে চলতে লাগলো স্কুলশিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনের বিরুদ্ধে সুসংগঠীত আন্দোলন।  পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম সহ জনমানসে WBPTWA- এক অন‍্যতম শক্তিরূপে আত্মপ্রকাশ করলো। সবচেয়ে কঠিন মূহুর্ত করোনাকালে এক অন‍্য WBPTWA-এর আত্মপ্রকাশ দেখলাম। করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতিতে সমগ্র বাংলা যখন স্তব্ধ, গৃহবন্দী, তখন WBPTWA-এর সৈনিকরা কোথাও কমিউনিটি কিচেন খুলে খাদ‍্য সামগ্রী দান, কোথাও ত্রাণসামগ্রী, কোথাও মাস্ক, স‍্যানিটাইজার বিতরণ কখনো অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সংক্রমিতের কাছে পৌছিয়ে যাওয়া। লড়াকু নেতা অমিতাভ কর স্বর্গলোকে চলে গেছেন। স্বপন বাবু ও পার্থ বাবু পদত্যাগ করাতে সংগঠনে এক শূন্যতার সৃষ্টি হয়। অবশেষে 2021 -এ ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষ্ণনগর সাধারণ সভাতে প্রাই সমস্ত জেলা প্রতিনিধি নিয়ে সর্বসম্মতিতে রাজ‍্য সভাপতি ও সম্পাদক  নির্বাচিত হলেন শ্রীহীরালাল মণ্ডল ও শ্রীবিবেকানন্দ সাহা। এই সভায় শ্রীসুজিত রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস‍্যের সংবিধান রচনা কমিটির প্রস্তুত  সংবিধান গৃহীত হলো। হীরালালবাবুরা দায়িত্ব নিয়েই গৃহশিক্ষকদের দীর্ঘদিনের চাওয়া ও পূর্বের কমিটির শীলমোহর লাগানো  আইনি পদক্ষেপ গ্রহনে দৃষ্টান্তমুলক পদক্ষেপ নিলেন।  স্কুলশিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনৈতিক ও অবৈধ প্রাইভেট টিউশনের বিরুদ্ধে কোলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের  হলো। শ্রীহীরালাল মণ্ডলের নেতৃত্বে বিভিন্ন সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ‍্যেই সংগঠনের পতাকা নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাবি সদস‍্যপদ নথিভুক্তকরণ কাজ শুরু হলো। সংগঠনের নিজস্ব পোর্টাল খোলা হলো। শ্রীহীরালাল মন্ডল সংগঠনটি অনেক আধুনিক করার লক্ষ‍্যে এগিয়ে চলেছেন।